Friday, August 7, 2020

এখন চুপ থাকাই শ্রেয়

এখন চুপ থাকাই শ্রেয়...........................


মানবতা নামক এক ধরণের তৈলের কথা প্রায় শোনা যায়।
ভোলায় যে পাঠাটাকে কুপিয়ে বলি দেয়া হলো, যারা ভিডিও করেছিল, দাঁড়িয়ে যারা দেখছিল... "তাদের মাঝে মানবতা নেই, তাদের মানবতা কুকুরে খেয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা আমরা বলেছিলাম। বলেই মনের জ্বালা মিটিয়েছিলাম, কারণ,আমরা বলতে পারলেই বর্তে যাই।

সেদিন প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দেখলাম, এক জাদরেল টাইপের মানবাধিকার কর্মী তার বাসার কাজের মেয়েকে ব্যালকুনির রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আহা... কী সুন্দর ঝুলন্ত মানবতা!
পুরো দেশ জুড়ে চলছে পুরুষত্ব জাহিরের প্রতিযোগিতা। বাচ্চার যোনি ব্লেড দিয়ে কেটে হলেও ইঁদুরের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা চাই। আমরা দু এক কথা বলে চুপ হয়ে যেতে পারলেই বেঁচে যাই। আমার বোন, আামার মেয়ে ঠিক থাকলেই হলো....

আমরা ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে পিটিয়ে মারতে পারি, বীরবাহু জাতি আমরা। মধুসূদন দত্ত বেঁচে থাকলে হয়ত "রেণুবধ কাব্য" রচনা করে ফেলতেন।

আমরা ইউটিউবের ভিডিও দেখে চেতনার গোড়ায় সুরসুরি দেই, সুরসুরিতে মাতাল হয়ে ফেসবুক লাইভে এসে বাণী প্রচার করি। করি হাইব্রিড জাতের চেতনার বহিঃপ্রকাশ।

টিভিতে টকশো দেখছি, সব রাসায়নিক দেয়া মস্তিষ্কের উর্বর ফলন। কথাতে মধু ঝরে বন্যা বয়ে যায়। আর মানবতার জয়গানে ত্রাণের ওজনে ডুবে মরে বন্যার্ত কুড়িগ্রাম আর গাইবান্ধার মানুষ।

ইদানিং আবার নতুন ইস্যু এসেছে, ডেঙ্গু মশা। দেখলাম হাতে ঝাড়ু নিয়ে নেতারা মশা মারছেন রাস্তায়। হাসপাতালে নাকি ডেঙ্গু নিধন ঔষধ ও সারঞ্জাম নেই। তাই ঝাড়ু দিয়ে ডেঙ্গুর গোষ্ঠীর ষষ্ঠীর পিণ্ডি চটকাচ্ছেন নেতারা। আমার মনে হলো, এর চেয়ে যুগ উপযোগী পদক্ষেপ আর কী হতে পারে? জয়তু নেতৃবৃন্দ....

কাশ্মীরে আবার মুসলিম নিধন চলছে। চালাচ্ছে কারা? পাশের বাড়ির দাদারা। আমরা তো দাদাদের ইলিশ ভেজে খাওয়াই, পুজার ঢাকে কাঠি মারি, দাদাদের হাতে হাত রেখে নিশ্চিন্তে তিস্তার পুটকি মারার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের কল্যাণ সাধন করি। এখন দাদাদের বিরুদ্ধে বললে তো মানবতার তৈল জল হয়ে যায়।

এমনিতেই প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে হাত বন্ধক দিয়েছে, কারণ বাংলাদেশি মুসলমানরা তার হাতে কামোড় দিয়েছে। এখন যদি কাশ্মীর বিষয়ে কিছু বলা হয়, দাদারা তো আমাদের মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী বলে সম্মানিত করবেন। আর এই সম্মান তো আমরা চাই না। তাই চুপ করে থাকাই শ্রেয়....