Friday, July 24, 2020

অনলাইন জীবনে কি পেলাম?

অনলাইন জীবনে কি পেলাম?

শেখ রাসেল।


আমি খুব শান্ত টাইপের ছেলে অপরিচিত কার সাথে তেমন কথা বলি না বেশি। ছোট থেকেই বাবা-মা কাউকে কাছে পাইনি নানুর কাছে বড় হয়েছি। এমনকি নানুকে মা বলেও ডেকেছি।

জীবনের বাস্তবতা হল খালি পকেট। আপনার পকেট খালি থাকলে সেটাই আপনার জীবনের কঠিন মুহুত। কিছু মানুষ এই সময়টাকে মেনে নিতে পারে আবার কেউ মেনে নিতে না পেরে নিজের জীবনটাই শেষ করে দেয়। কোন এক অন্ধকার রাতে।
আমার জীবনে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার যা এসব লেখালেখিতে কখনোই প্রকাশ করা যাবে না। কিছু মানুষ আছে কখনো প্রকাশ করে না। চাপা পড়ে যায় হাজারও দুঃখ কষ্ট ঠিক তেমনি আমার জীবন।

আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে একদম শূন্য থেকে উঠে এসেছে। আমার কোন কম্পিউটার ছিল না। মাকে বলা আমার মেঝ মামা আমাকে একটা এইচপি ল্যাপটপ দিয়েছিল।

সেই ল্যাপটপছিল আমার মূলধন। তারপর একদিন ল্যাপটপ ডিসপ্লে গেল নষ্ট হয়ে। একে তো এতো কষ্ট করে ল্যাপটপ মামাকে দিয়ে নিয়েছিলাম তারপর নষ্ট হয়েগেছে। তখন আবার আমি আমাদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ট্রেইনার ছিলাম। যারা শিখতে আসতো অফিস প্রোগ্রামের হাতেখড়ি দেখাতাম কাজ। বেতন ছিল মাত্র ৪ হাজার। যা বর্তমানে আমার একটা ডিল এর ৫০% টাকাও না😎
ওই ৪ হাজার টাকা থেকেই কিছু টাকা জমিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন একটা ডেক্সটপ কিনবো। কিন্তু তাও আমার কিছু টাকা কম পরে যায়। আমার এক ক্লোজ বন্ধু বিদেশ থাকে তার কাছে বেশি না ২ হাজার টাকা দার চেয়েছিলাম। সে বলেছিল পরের মাসে দিবে। তো আমিও একমাস অপেক্ষা করেছিলাম সে দিলেই ডেক্সটপটা কিনবো।

পরের মাস আসার পর তার সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বললাম। সে বললো তার নিজের কাছেই নাকি মানুষ টাকা পাবে সেগুলো দিতে পারছে না। তারপর আর কথা বাড়ালাম না বুঝে নিলাম সে কি বুঝাতে চেয়েছে।

তারপর আমার নিজের পরের মাসের বেতন থেকেই কষ্ট করে কিনে নিলাম ডেক্সটপ। ডেক্সটপ কিনার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল আমি তখন টুকটাক ব্লগিং নিয়ে কাজ করতাম। সাথে প্রোগ্রামিং করার ট্রাই করতাম। learn with live project এর প্রতিষ্ঠাতা ছিল দেলোয়ার হোসেন ভাই আর ২০১৬ দিকে প্রায় অনেকেই উনার ভিডিও গুলো দেখতো এখনও হয়তো দেখে।

কিন্তু এখন ২০২০ সালে এসে ঠিক আমিটাই চিন্তা করলাম উদ্যোক্তা হব। যেখানে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যেখানে আমি আমার ছোট কালের বন্ধুু থেকে মাত্র ২ হাজার টাকা নিতে পারি নাই।

কিন্তু অনলাইনে বিজনেস পরিচিত হয়েছি কখনো দেখাও হয়নি। আমার প্লান শুনেই আমাকে টাকা দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। টাকাও পাঠিয়ে দিয়েছে ভাবা যায়?
কেন পাঠিয়েছে জানেন? 

তাদের কাছে টাকাটা বড়ছিল না। তাদের কাছে আমার প্লানটাই আসল বিষয়ছিল। বিজনেস পার্টনার বাদে করা যায় না।
এই অনলাইনে এসে আমি আমার ক্যারিয়ার দাড় করানোর জন্য সঠিক রাস্তা পেয়েছি। কিছু ভালো ভালো বন্ধু পেয়েছি যারা সত্যিকার বন্ধুদের মতই সাপোর্ট করে। তাদেরকে বন্ধু বললে ভুল হবে না। আসলে বিপদে যে পাশে থাকে সেই তো প্রকৃত বন্ধু তাই না?
ইতি
শেখ রাসেল।