Saturday, July 25, 2020

রাজকন্যা :-১ম পর্ব

রাজকন্যা :-১ম পর্ব


১৯৯৯ তে বাবা মার হাত ধরে ঢাকায় প্রথম পা রাখা
ঢাকায় এসে নতুন স্কুলে ভর্তি। আমার প্রাইমারির ৫ বছর একটা স্কুলে কেটেছে। কিন্তু প্রাইমারির বৃত্তি পরিক্ষা দিতে গ্রামে গিয়েছিলাম গ্রামে।

সালটা ২০০৫।
প্রথম ক্রাস খেয়েছি ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরিক্ষা দিয়ে গিয়ে ক্লাস সিক্সের এক মেয়ে উপর।যদিও পরে শুনি মেয়েটি বৃত্তি পাবার আশায় আমার সাথেই পরীক্ষা দিচ্ছে। বড় আপু ছিল তাই আর পা বাড়ায় নি।

২০০৬
শহীদ ক্যাডেট কোচিং এ ভর্তি হলাম। ফাইভের প্রেম ভুলে পড়ায় মন দিলাম। কিন্তু আশে পাশের সবার প্রেম দেখে আমারও সাধ জাগলো আর কি!!

অনেক খোজাখুজির পর পেলাম না মনের মত মেয়ে।
হঠাৎ একদিন সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় ধাক্কা লাগে। চোখে চোখ পরেছে তারপর থেকেই ভাল লাগা। মনে মনে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে চোখ যে মনের কথা বলে। বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই লাইফের ২য় বার কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছি।

পড়াশোনা গোল্লায় গেল। তারে প্রপোজাল দিলাম কিন্তু একটু অন্য ভাবে।
বলে রাখা ভাল সে অনাবাসিক আর আমি আবাসিক ছিলাম। তাই সে সকালে যে বেঞ্চে বসতো, বিকালে আর রাতে আমিও সেম বেঞ্চে বসতাম তাই। পত্র লেখা টা বেঞ্চের উপর দিয়েই শুরু। আর একটি মজার ব্যাপার সে আমার নাম জানতো না। কিন্তু দুজনেই মনের কথা লিখতাম।

এভাবে ২ মাস পর একদিন সাহস করে নাম লিখলাম কিন্তু ৩১০ জনের মধ্যে সে আমাকে খুজে পেতে ১ মাস সময় নিয়েছিল তাও সেদিন স্যার নাম ধরে ডাক দিয়ে পড়া জিজ্ঞাসা করেছিল তাই। ভালই কাটছিল এর মধ্যে আমার বাবার নাম্বার টার কাছে ছিল। এক বার ঈদে ছুটি তে বাড়ি আসলে কথাও হয়েছিল। কিন্তু কথায় বলে না সুখ নাকি বেশি দিন কপালে থাকে না। আমারো একই রকম। কোন এক কারন বশত আমি শহীদ কোচিং ছেড়ে দেই। কিন্তু আশার আগের দিন আমার শেষ ক্লাশ, শেষ বার তারে দেখা।
আমার কান্না😭

জানি না কিভাবে সে শুনেছিল আমি চলে যাবো আমাকে দেখার জন্য সে বিকালে ক্লাশ করতে আসে। সেই শেষ দেখাটা আমার চোখে এখনো ভাসে। নীল জামা, কাজল দেওয়া চোখ, কালো টিপ, আর সেই পারফিউম। আমাকে আজও কাদায়। আমার মতে সেই ছিল আমার প্রথম প্রেম। ওহো নাম টায় বলা হয় নাই তার নাম ছিল প্রেমা। 
কিন্তু আমি চলে আশার পর সব শেষ।

যেহেতু আমি ক্যাডেট পরীক্ষায় আংশগ্রহন করি নাই তাই আমার হাতে সুযোগ ছিল আবার পরীক্ষা দেওয়ার।
তাই ২০০৭ এ আবার চলে যায় শহীদ ক্যাডেটে। কিন্তু সব নতুন ছাত্র, আর যেখানে ও নাই সেখানে মন টিকছিল না। খুব ডিপ্রেশন কাজ করতে লাগল। পড়ায় মন দিতে না পেরে চলে আসলাম।

বছরের মধ্যে কোন স্কুলে ভর্তি নিলো না। অনেক অনুরোধ আর আমার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সুপারিশে আমি
মিরপুর ন্যাশনাল বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম।
ঢাকার জীবন শুরু আবার.............